এন্ড্রয়েড মোবাইল রুট করার সহজ উপায় – Rooting Apps
রুট কিভাবে করব – আজকাল এন্ড্রয়েড স্মার্টফোন ব্যবহার করা লোকেদের মধ্যে এক নতুন ইচ্ছে জেগে উঠেছে। সেটা হলো, নিজের স্মার্টফোন রুট করার। Android mobile root করার নিয়ম কি বা কিভাবে মোবাইল রুট করবেন সেটা নিয়ে অনেকের মনেই অনেক প্রশ্ন রয়েছে। এমনিতে, আজ smartphone ব্যবহার করা লোকেদের সংখ্যা অনেক, কিন্তু তাদের মধ্যে মোবাইল ফোন রুট করার বিষয়ে খুব কম লোকেরাই জানেন।
How to root your android mobile ? best appsনিজের android mobile রুট করাটা কিন্তু সবাইর জন্য জরুরি নয়। যদি আপনি নিজের মোবাইলে কিছু experiments করতে চান, performance বাড়িয়ে নিতে চান এবং মোবাইল আরো শক্তিশালী করে নিতে চান, তাহলে একবার রুট করে দেখতে পারেন।
বিশেষ ভাবে, technical ভাবে জ্ঞান রাখা লোকেরা Phone root করেন। এবং, আপনি যদি একজন সাধারণ লোক এবং technically আপনার তেমন কোনো জ্ঞান নেই, তাহলে ফোন রুটিং করে আপনার তেমন কোনো কাজে আসবেনা।
তবে হে, android mobile root করার পর, আপনি এমন কিছু মজার এপস নিজের মোবাইলে ব্যবহার করতে পারবেন যেগুলি রুট করার আগে হয়তো ব্যবহার করাটা সম্ভব নয়। যেমন, নিজের মোবাইলের font style বদলানোর এপস, security apps, performance booster apps, RAM বাড়ানোর এপস এবং আরো অনেক।
তাছাড়া, android mobile কে root করার পর, আপনি তাতে বিভিন্ন company র মোবাইলের stock rom ইনস্টল করে, মোবাইলে আলাদা আলাদা company র smartphone এর মজা নিতে পারবেন। এরকমই, অনেক ধরণের লাভ রয়েছে যদি আপনি নিজের mobile root করার কথা ভাবছেন। তাহলে চলুন, বেশি সময় না নিয়ে কিভাবে মোবাইল রুট করা যাবে তার নিয়ম আমরা জেনেনেই।
Android mobile root কিভাবে করবেন ? কম্পিউটার ছাড়া
আগে, মোবাইল কে রুট করার জন্য কম্পিউটারের প্রয়োজন হতো। কিন্তু, আজকাল আপনি এমন অনেক ধরণের rooting apps পেয়েযাবেন যেগুলি ব্যবহার করে কেবল ২ মিনিটে নিজের এন্ড্রয়েড ডিভাইস রুট করে নিতে পারবেন। এন্ড্রয়েড মোবাইল সহজে রুট করার এটাই সেরা উপায়।
Mobile root করার এই apps গুলি আপনারা Google play store এ বা গুগল এ সার্চ করে অনেক সহজে পেয়েযাবেন। আমি নিচে আপনাদের, ৫ টি মোবাইল রুট করার এপস (mobile rooting apps) এর বেপারে বলবো, যেগুলি ব্যবহার করে আপনারা নিজের এন্ড্রয়েড ফোন রুট করতে পারবেন।
সোজাসোজি, এপস গুলির মধ্যে যেকোনো একটি মোবাইলে ইনস্টল করুন এবং তারপর সেগুলি মাধ্যমে প্রয়োজনীয় স্টেপস গুলো follow করে রুট করে নিন নিজের মোবাইল।
আরও পড়ুন – মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র বের করুন। ১০০% সহজ উপায়।
Top 5 apps to root your android mobile (2019)
এমনিতে, মোবাইল কে রুট করার আগে আপনাদের কিছু সাধারণ নিয়ম ধ্যানে রাখতে হবে। এই, সাধারণ নিয়ম গুলি আমি নিচে আপনাদের বলেদেব। আগে, আমরা কিছু সেরা android রুট করার এপস এর বেপারে জেনেনেই। (Best apps to root android smartphone).
১. KingRoot
KingRoot android application যেকোনো android ফোন কে রুট করার সবচেয়ে বেস্ট এবং ভালো application হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। KingRoot app মোবাইলে রুটিং প্রসেস অনেক সহজ ভাবে এবং সুরক্ষিত ভাবে সম্পন্ন করে। এই app অন্য সব ধরণের রুট করার এপস এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়। এই application আপনারা Google play store থেকে সহজে Download করতে পারবেন। KingRoot ডাউনলোড এবং ইনস্টল করার পর, কম্পিউটার ছাড়াই আপনারা নিজের মোবাইল কে রুট করে নিতে পারবেন।
২. FamaRoot
FamaRoot আরো একটি ভালো app যেটা নাকি কেবল একটি ক্লিকেই আপনার এন্ড্রয়েড ফোন রুট করে দিতে পারবে। এই application আপনি Google play store থেকে ডাউনলোড করতে পারবেননা।কারণ, Play store এ এই app নেই। তবে, Google এ সার্চ করে আপনি অনেক রকমের ওয়েবসাইট থেকে FamaRoot app ডাউনলোড করতে পারবেন।এই রুট এপ্লিকেশন দ্বারা অনেকেই অনেক স্মার্টফোনের মডেল রুট করেছেন। এবং, আপনার smartphone root করার জন্য এই app কাজে আসবে কি না সেটা আপনারা একে ব্যবহার করেই বুঝতে পারবেন।
৩. SuperSU – one click root
SuperSU মোবাইল রূটিং app এর বেপারে গুগল সার্চ করলেই আপনারা এই app ডাউনলোড করার লিংক পেয়েযাবেন। SuperSU ব্যবহার করেই আমি আমার রেডিমি এম আই এবং মাইক্রোম্যাক্স মোবাইল ফোন রুট করেছিলাম। এবং, কোনো অসুবিধা ছাড়াই কেবল একটি ক্লিকেই আমার android mobile সফলতা ভাবে রুট হয়ে গেছিলো। তাই, আপনি যদি ভাবছেন, কিভাবে মোবাইল রুট করবো, তাহলে SuperSU app ব্যবহার করেই সেটা সহজে সম্ভব।
ওপরে আমি যেগুলি এপস এর বেপারে বললাম, সেগুলি ব্যবহার করে আপনারা নিজের এন্ড্রয়েড স্মার্টফোন root করতে পারবেন। আপনি, তিনটির মধ্যে যেকোনো একটি (যেটা আপনার মোবাইলে কাজ করে) app ডাউনলোড এবং ইনস্টল করে রুট করুন।
যা আমি আগেই বলেছি, rooting process স্টার্ট করার আগেই, আপনার কিছু সাধারণ জিনিসের ধ্যান রাখতে হবে।
Smartphone Root করার আগে যেসব বেপারে মনে রাখতে হবে
- মোবাইল রুট করার সময় যাতে আপনার মোবাইল ফোনের ব্যাটারিতে মিনিমাম ৬০ % চার্জ (charge) থাকে। এতে, আপনার rooting process এ কোনোরকমের বাধা আসবেনা।
- রুট করার আগে, মোবাইলের সব ধরণের জরুরি ফাইল যেমন, ভিডিও, গান, ছবি বা ডকুমেন্ট ফাইল ব্যাকআপ (backup) নিয়ে রাখবেন।
- ওপরে দেয়া এপস গুলি আপনারা মনে করে নিজের মোবাইলের ইন্টারনাল স্টোরেজে ইনস্টল করবেন।
- রুটিং এপস মোবাইলে ওপেন কোরে তারপর তাতে দেয়া স্টেপস ফলো করে নিজের smartphone রুট করে নিন।
আপনার এন্ড্রয়েড ফোন রুট করে কি লাভ হবে ?
বন্ধুরা, যদি আপনারা নিজের ফোন root করার কথা ভাবছেন, তাহলে এর ফলে আপনাদের কি কি লাভ হতে পারে, সেটা আপনাদের জেনেনেয়াটা অনেক জরুরি। এমনিতে, রুট করার মজা কিন্তু অনেক।
- আপনারা একটি rooted android smartphone এর UI (user interface) বদলাতে পারবেন এবং আকর্ষিত করেনিতে পারবেন।
- আপনারা যখন একটি মোবাইল কিনেন, তখন তাতে অনেক pre-installed apps আগেথেকেই ইনস্টল হয়ে থাকে। এই apps গুলি আপনার স্মার্টফোন স্লো করার সাথে সাথে internal storage খেয়ে রাখে। তাই, মোবাইল root করার পর আপনারা এমন pre-installed apps গুলি মোবাইল থেকে uninstall করতে পারবেন।
- Processor over clock এবং under clock করে, মোবাইলের processor এর performance বাড়িয়ে নেয়া যাবে।
- কিছু অনেক advanced apps ব্যবহার করতে পারবেন, যেগুলি কেবল rooted android mobile ফোনেই আপনি ইনস্টল করতে পারবেন।
- বিভিন্ন অন্য অন্য company র smartphone এর stock rom বা custom rom মোবাইলে ইনস্টল করতে পারবেন।
ফোন রুট করার পর যেভাবে আপনার অনেক লাভ বা অনেক করণীয় কাজ হতে পারে, ঠিক সেভাবেই কিছু ক্ষতিও আপনার মোবাইলে হতে পারে।
রুট করার ফলে কি কি ক্ষতি মোবাইলে হতে পারে ?
Android mobile রুট করার ফলে, কোনো বিশেষ ক্ষতি আপনার মোবাইলে হওয়ার সুযোগ অনেক কম দেখা গেছে যদিও, কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনেক বোরো রকমের ক্ষতিও লোকেদের মোবাইলে হয়েছে।
- এন্ড্রয়েড রুট করার ফলে আপনার মোবাইলের warranty শেষ হয়ে যাবে। হে, যদি আপনার মোবাইলে রুট করা থাকে তাহলে কাস্টমার কেয়ার আপনার মোবাইলের warranty মেনেনিবেনা।
- Root করার পর আপনার মোবাইলের OS এ automatic update আসতে নাও পারে। মানে, আপনার মোবাইলের updated software version ভবিষতে আপনি পাবেননা।
- Phone root করার সময় instructions এবং steps ভালোকরে পড়ে এবং বুঝে follow করবেন। এনাহলে, আপনার মোবাইল চিরকালের জন্য dead (নষ্ট) হয়ে যেতে পারে।
- Root করার পর অনেক সময় আপনার মোবাইলে অনেক ক্ষতিকারক ভাইরাস আক্রমণ করতে পারে। ফলে, আপনার মোবাইলের অনেক ক্ষতি সাধন হতে পারে।
- মোবাইল রুট করার পর আমার smartphone সাংঘাতিক ভাবে স্লো হয়ে গেছিলো। তাই, রুটিং এর ফলে আপনার স্মার্টফোন অনেক স্লো হয়ে যেতে পারে।
Note – এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের কিছু সাধারণ ভাবে ব্যবহার করা rooting apps এর বেপারে বলেছি যেগুলি ব্যবহার করে জেকেও নিজের এন্ড্রয়েড মোবাইল রুট করতে পারবেন। কিন্তু, যদি রুট করার পর বা রুটিং এর সময় আপনার মোবাইলের কোনোরকম ক্ষতি সাধন হয়, তাহলে তার জন্য দ্বায়ী আমি বা আমার ব্লগ (trixbd.com) না।
আমাদের শেষ কথা,
তাহলে, বন্ধুরা যদি নিজের মোবাইল রুট করার নিয়ম বা উপায় খুঁজছেন, তাহলে আমি ওপরে দেয়া apps গুলি ব্যবহার করে কম্পিউটার ছাড়াই কেবল এক ক্লিকেই ফোন কে রুট করে নিতে পারবেন।
শেষে, personally আমি আপনাদের বলবো, যদি আপনারা একটি ভালো এবং দামি smartphone ব্যবহার করছেন, তাহলে তাকে root করবেননা। Root করার ফলে আপনার ফোনের security system অনেক কমজোর হয়ে যেতে পারে। এর ফলে অনেক রকমের ভাইরাস আপনার মোবাইল ফোনে আক্রমণ করতে পারে।
এছাড়া, আপনি যদি শিক্ষার জন্য বা entertainment এর জন্য phone root করতে চাচ্ছেন, তাহলে করতে পারেন।