টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে 2024 – TrixBD
অনলাইন ইনকাম । এখন এই জিনিষটা অনেকের কাছে কঠিন আবার অনেকের কাছে পানির মত সোজা। মাস শেষে দেখা যাচ্ছে বেশ ভাল পরিমাণ একটা আর্নিং দেখা যাচ্ছে। কিন্তু কিভাবে এত সহজেই পারছে? আপনি কেন পারছেন না? আপনি কি টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে থেকে দেশীয় মার্কেট রিসার্চ এর উপর ভিত্তি করে এর আসল মাধ্যম ফলো করেছেন? নাকি শুধুই অনলাইন জগতে সাগরের মধ্যে উথাল পাথাল সাতার কাটছেন? চলুন আজকে শুরু করি, কিভাবে আয় করবেন।
একটা বিষয় ক্লিয়ার করি, আমি আপনাকে যে গাইড গুলো দেখাব, এইগুলো ফলো করার সাথে সাথেই আপনি বিলিয়নার হয়ে যাবেন না রাতারাতি। আপনার পরিশ্রম করার আগ্রহ, মানসিকতা, ধৈর্য্য, এসব যদি আপনার মাথার মধ্যে থাকে তবেই আপনি এই পোস্ট ফলো করতে পারেন।
এছাড়া আপনি কি নিচের লাইনগুলো কখনো না কখনো গুগলে লিখেছেন?
টাকা ইনকাম করার অ্যাপ ২০২২
টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট
টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট
টাকা ইনকাম করার উপায়
টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে app
টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে ২০২২
টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট
রিয়েল টাকা ইনকাম
অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে ২০২২
অনলাইন ইনকাম সাইট ২০২২
অনলাইন ইনকাম 2022
স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম
অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে ২০২১
সরকারি অনলাইন ইনকাম
যদি লিখে থাকেন এবং এই পোস্টটি পেয়ে থাকেন তবে আপনি ঠিক জায়গায় আসছেন। চলুন শুরু করি।
টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে
আজকাল ফেসবুকে ঢুকলেই অনেকেই প্রশ্ন করে কিভাবে অনালাইন আয় করা যায়? কিভাবে ঘরে বসে সহজে টাকা আয় করা যায়? কিভাবে সহজে অনলাইনে কাজ পাওয়া যায়? কিভাবে মোবাইল দিয়ে ঘরে বসে আয় করা যায়? অনেকের ধারণা অনলাইনে ইনকাম বাংলাদেশী সাইট। বিকাশ পেমেন্ট বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করা যায়। হ্যাঁ, এগুলো কিছুটা সত্যি হলেও বেশীরভাগই মিথ্যা এবং বানোয়াট, ধোকাবাজ হয়ে থাকে। তাই একটু সতর্ক থাকবেন।
আবার অনেকেই বলে ভাই আমি কিভাবে ফ্রিলান্সিং শুরু করবো ? আমি তো নতুন আমি ফ্রিলান্সিং এর কোন কাজটি আগে শিখবো। কোন কাজের চাহিদা বেশী? কোথায় থেকে কাজ শিখবো ? ফ্রিলান্সিং বা আউটসোর্সিং কি ?
তো সবার কথা বিবেচনা করে আজকে আমি ফ্রিলান্সিং বা অনলাইন থেকে আয় করার উপর একটি পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন দেবার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
অনলাইনে ইনকাম ২০২২। শুরুতেই বলে নিচ্ছি আজকের আর্টিকেলটা কিন্তু অনেক বড় হবে ।
কাজেই খুব সময় নিয়ে ধৈর্য্যসহকারে পড়তে হবে। আর আমি ১০০% গ্যারান্টি দিতে পারি আপনি যদি এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন । তবে ফ্রিলান্সিং নিয়ে আপনার আর কোন প্রশ্ন থাকবে না।
আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন আপনার এখন কি করা উচিত, কিভাবে সামনে আগানো উচিত।
এই লেখাটি কাদের জন্য?
১। যারা পড়ালেখা বা চাকরির পাশাপাশি অনলাইন থেকে সত্যিই ইনকাম করতে চায়
২। যারা অনেক ধৈর্য্যশীল
৩। যারা কঠর পরিশ্রমী
এই লেখাটি কাদের জন্য নয়?
- যারা মনে করে দু’চার দিন অনলাইনে একটু সময় দিয়েই হাজার হাজার ডলার ইনকাম করা যায়
- যারা পরিশ্রম না করে শুধু ডলার ইনকামের ধান্দা করেন।
- যারা কোন কাজে অধৈর্য্য হয়ে যায়
- যারা আগে থেকেই সফলতার সাথে ফ্রিলান্সিং করতেছেন। ( কারন এই লেখাটি একদম বিগিনারদের কথা মাথায় রেখে লেখা হয়েছে )
যাহোক ভুমিকাতে আর সময় নষ্ট করবো না এখন চলুন আমরা আমাদের মুল পয়েন্টে চলে যাই ।
টাকা ইনকাম করার উপায়ঃ
টাকা ইনকামের বিষয়টা চলুন আমি কয়েক ভাগে ভাগ করব। বলে রাখি – অনলাইনে ইনকাম করার হাজার হাজার উপায় বলে দিতে পারব। কিন্তু আপনাকে বাছাই করে নিতে হবে আপনি কোনটা ফলো করে আয় করতে চান। তাই নিজে থেকে যেকোন একটা আইডিয়া আগে নিজের মাথায় সেট করে নিবেন এবং সেই আইডিয়া নিয়ে সেভাবে কাজ শুরু করবেন আশা করি সফলতা পাবেন। চলুন নিচে অনলাইন ইনকাম এর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করি –
টাকা ইনকাম করার মাধ্যম কে আমি কয়েকটা ভাগে ভাগ করছি –
টাকা ইনকাম করার উপায়ঃ১। অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে ২০২১
২। ফ্রিল্যান্সিং করে আয়।
৩। ব্লগিং করে ইনকাম।
৪। ইউটিউবিং করে ইনকাম।
৫। ইকমার্স থেকে ইনকাম
এই বিষয়গুলো নিয়েই আজকে বিস্তর আলোচনা হবে। তাই আশা করি শেষ পর্যন্ত পুরো আর্টিকেলটি পড়বেন এবং সাথে থাকবেন। আমি আপনার সাথে আজকে অনলাইন ইনকামের যে আইডিয়া শেয়ার করব আশা করি আপনার কোন না কোনভাবে কাজে লাগবে।
অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে ২০২১
মোবাইল দিয়ে অনলাইনে আয় কিভাবে করবেন ? মোবাইলে অনলাইনে আয় করার উপায় গুলো কি, এই বিষয়ে আজকে আমরা এই আর্টিকেলে আলোচনা করতে চলেছি। ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায় এমনিই প্রচুর রয়েছে যেগুলোর বিষয়ে আজকে আমরা আলোচনা করবো।
আজ টেকনোলজি এতো ফাস্ট এবং অ্যাডভান্সড হতে চলেছে যে, এন্ড্রোইড মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করা এখন একটা ট্রেডিশন বা ফ্যাশন হয়ে উঠেছে।
মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকাম করার এমনিতে অনেক উপায় আছে।
কিন্তু আমি আপনাকে মোবাইলে অনলাইনে আয় করার কেবল ওই ৫ টি সহজ উপায় গুলো বলবো যেগুলি আপনাকে সত্যি মোবাইল দিয়ে ইনকাম করার সুযোগ দিয়ে থাকবে।
আর্টিকেল শুরু করার আগে আমি আপনাকে একটা কথা ভালো করে বলেদিতে চাই।
Android মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার যেগুলি অনলাইন উপায় আমি বলবো সেগুলি আজ অনেকেই ব্যবহার করে আনলিমিটেড ইনকাম করছেন।
আর সেটা আপনিও করতে পারবেন।
কিন্তু, একটা কথা অবশ্যই মনে রাখুন যে, কোনো কষ্ট আর কাম না করে জীবনে কিছুই পাওয়া যায়না।
আর, তার জন্যই আপনাকেও অনলাইন মোবাইল থেকে টাকা কমানোর জন্য অল্প পরিশ্রম করতেই হবে।
১.Ysense দিয়ে টাকা আয় করুন
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার এটা অনেক সোজা এবং সহজ উপায়।
Ysense হলো একটি অনলাইন ওয়েবসাইট যেটা মূলত একটি paid survey website যেখানে বিভিন্ন সার্ভে গুলো করে টাকা ইনকাম করা যায়।
সরাসরি নিজের মোবাইল দিয়েই Ysense এর website এর মধ্যে গিয়ে একটি free account তৈরি করে নিতে পারবেন।
এবার, একাউন্ট তৈরি করার পর আপনারা নিজের dashboard দেখতে পাবেন এবং Surveys এর ভাগে আপনারা ভিন্ন paid survey গুলো দেখতে পাবেন।
এখন, এক এক করে survey গুলো join করুন এবং সেগুলোর উত্তর দিয়ে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে থাকুন।
প্রত্যেকটি সার্ভে সফলভাবে সম্পূর্ণ করতে পারলে প্রায় ৩ থেকে ১০ ডলারের মধ্যে আপনার ইনকাম হয়ে যাবে।
২. Android apps থেকে টাকা আয় করুন
হে আপনি ঠিক শুনেছেন, এখন মোবাইলে বিভিন্ন এন্ড্রয়েড অ্যাপ থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
কিন্তু, নিজের মোবাইল থেকে টাকা আয় করার এই মাদ্ধমে আপনার খুবেক্টা বেশি ইনকাম হবেনা।
যদি আপনি একজন student, housewife বা retired person তাহলে extra কিছু ইনকাম করার জন্য এই উপায় ব্যবহার করতে পারেন।
Google play store এ গিয়ে “earning apps”, “online income app” বা “free recharge app” বলে সার্চ করলেই অনেক এমন apps পেয়ে যাবেন যেগুলো আপনাকে বিভিন্ন কাজের জন্য real টাকা দিয়ে থাকে।
এমন টাকা কমানোর কিছু সেরা অ্যাপ কিছু হলো “Truebalance” , “MCent“, “Amulyam“, “Pocket Money“, “TaskBucks” ইত্যাদি আরো অনেক রয়েছে।
এই apps গুলো google play store থেকে ফ্রীতে download করে মোবাইল থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
তবে, টাকা কমানোর এই apps গুলো আপনাকে এমনেই পয়সা দিয়ে থাকেনা।
App ডাউনলোড করার পর আপনার অনেক রকমের কাজ গুলো করতে হবে।
যেমন – apps downloading, app রেফার করা, video দেখা ইত্যাদি।
আর, এই কাজ গুলির বিনিময়ে আপনাকে কিছু টাকা app এর তরফথেকে দেওয়া হয়।
ইনকাম করা টাকা আপনি অনেক রকমেই তুলতে পারবেন।
যেমন – paytm cash হিসেবে, ফ্রি মোবাইল রিচার্জ, ফ্রি ডিশ টিভি রিচার্জ, bank account transfer ইত্যাদি মাধ্যমে।
৩. OLX এবং QUIKR এ পুরোনো জিনিস sell করুন
যদি আপনি মোবাইল থেকে extra income করার উপায় খুঁজছেন, তাহলে OLX এবং Quikr এর মতো ওয়েবসাইট আপনার হাহায্য করতে পারবে।
OLX বা Quikr আসলে এমন ওয়েবসাইট যেখানে পুরাণ যেকোনো জিনিস বা পণ্য বিক্রি করা যায়।
সেটা যেকোনো জিনিস হতে পারে যেমন, bike, মোবাইল, টিভি, Car, computer, ল্যাপটপ বা যেকোনো জিনিস।
আপনি এই দুটি ওয়েবসাইটে গিয়ে পুরোনো জিনিস বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারবেন।
আপনার ঘরে যদি বিক্রি করার মতো পুরোনো জিনিস আছে তবে সেটা আপনি অবশই বিক্রি করতে পারবেন।
এছাড়া, যদি কোনো পুরোনো bike বা car বিক্ৰী করার দোকানের মালিকের সাথে আপনার চেনা পরিচিত থেকে থাকে তাহলে আপনি কম দামে তার থেকে জিনিস কিনে আবার বেশি দামে এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
আর, এই সম্পূর্ণ কাজ আপনি নিজের মোবাইল থেকেই করতে পারবেন।
আপনি যা বিক্রি করতে চান, সেটার ফটো উঠিয়ে OLX বা QUIKR ওয়েবসাইট আপলোড করে জিনিস বা যা বিক্রি করতে চান তার বিষয়ে কিছুটা লিখে দাম সহ পোস্ট করে দিন।
বাস, তারপর কিছু সময়ের মধ্যে জিনিস টি কেনার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কাস্টোমাররা আপনার সাথে যোগাযোগ করতে শুরু করবেন।
এভাবেই মোবাইল থেকে পুরোনো জিনিস SELL করে আপনি পয়সা আয় করতে পারবেন।
৪. Short link website থেকে অনলাইন ইনকাম
আপনি কি short link ওয়েবসাইটের কথা জানেন ? যদি না, তাহলে জেনেরাখুন, নিজের মোবাইল থেকে অনলাইন ইনকাম করার এইটা অনেক সোজা এবং ১০০% সত্যির উপায়।
আপনার বেশি কিছু করার দরকার নেই।
আপনার প্রথমে কিছু short link ওয়েবসাইটে গিয়ে account রেজিস্টার করতে হবে।
কিছু trusted এবং ভালো short link ওয়েবসাইটের নাম হলো – Shorte.st, adf.ly, AL.LY, Blv.me, Linkshrink.Net ইত্যাদি।
আপনি এগুলোর যেকোনো একটা বা প্রত্তেকটাতেই account বানাতে পারেন।
এখন, এই short link ওয়েবসাইট গুলির মাদ্ধমে টাকা কিভাবে আয় করবেন সেটা নিয়ে হয়তো আপনি ভাবছেন, তাই তো ?
আসলে, এই ওয়েবসাইট গুলোকে link shortener website বলা হয়।
এখানে, আপনাকে একটা box দেয়া হয় যেখানে যেকোনো ওয়েবসাইটের URL address link টি past করে তাকে ছোট (short) করতে পারেন।
ইন্টারনেট থেকে যেকোনো আর্টিকেল, ভিডিও, গান বা যেকোনো ওয়েবসাইটের URL address কপি করে তাকে এই URL shortener ওয়েবসাইট গুলির মাদ্ধমে ছোট করে দিতে পারেন।
যেমন, আপনি যদি আমার ব্লগের কোনো একটি আর্টিকেলের URL link ছোট করেন, তাহলে সেটা দেখতে আসল URL থেকে সম্পূর্ণ আলাদা দেখাবে এবং অনেক ছোট হয়ে যাবে।
কিন্তু কথা হলো, এই URL shortener ওয়েবসাইট থেকে টাকা কিভাবে ইনকাম করা যাবে ? তাই তো ভাবছেন ?
আসলে, যখন কোনো ওয়েবসাইট বা ব্লগের বা ভিডিওর URL Address এই URL shortener ওয়েবসাইটে গিয়ে ছোট করবেন, তখন লিংক এড্রেস টি ছোট হওয়ার সাথে সাথে ওখানে কিছু advertisement ও লাগিয়ে দেবা হয়।
আর এর ফলে, যখন কেউ আপনার short করা (ছোট করা) URL address এ ক্লিক করবেন তখন original ওয়েবসাইটে যাবার আগে কিছু advertisement দেখানো হবে।
এখন, এর ফলে আপনাকে প্রতি valid ad view এর ওপর টাকা দেবা হবে।
কোনো কোনো Link shortener ওয়েবসাইট আপনাকে ১০০০ ভিউ তে ৫ থেকে ১৫ ডলার দেবে বা কেউ কেউ ৫ থেকে ১০ ডলার।
কিন্তু ইনকাম আপনার ভালোই হবে।
আপনি সবটা নিজের মোবাইল দিয়েই করতে পারবেন।
আপনার খালি, ইন্টারেস্টিঙ আর ভালো ভালো ভিডিও, আর্টিকেল বা ওয়েবসাইট url address গুলো এই link shortener ওয়েবসাইট গিয়ে ছোট করতে হবে আর যতোটা সম্ভব Facebook group , WhatsApp group বা অন্য সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে শেয়ার করতে হবে।
তারপর, যতোটা ভিসিটর্স আপনার লিংকে ক্লিক করে আপনার দেওয়া URL address এ যাবে তারা advertisement দেখবে আর আপনি টাকা আয় করবেন।
৫. ফেসবুক গ্রুপ বানিয়ে ইনকাম
যদি আপনি ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে অনলাইনে টাকা আয় করার সেরা উপায় গুলো খুঁজছেন, তাহলে একটি ফেসবুক গ্রুপ বানিয়েও ভালো টাকা আয় করতে পারবেন।
আজকাল একটি জনপ্রিয় এবং অধিক members থাকা Facebook group এর দ্বারা বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা আয় করা সম্ভব।
এবং, যদি আপনার কাছে একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল আছে তাহলে গ্রুপ বানানোর থেকে টাকা ইনকাম করা, সবটাই মোবাইল দিয়ে করতে পারবেন।
তবে, প্রথমে নিজের ফেসবুক গ্রুপ বানিয়ে সেটাকে জনপ্রিয় করার চেষ্টা করতে হবে।
এক বার আপনার গ্রুপে কমেও ১০ হাজার মেম্বার যোগ হয়ে গেলে তারপর আপনি বিভিন্ন উপায় গুলো ব্যবহার করে নিজের গ্রুপ থেকে অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং করে আয়।
অনলাইনে ইনকাম ২০২২ । ২০২২ সালে আপনি কিভাবে ঘরে বসে আয় করবেন ? এই প্রশ্নটির উত্তর দেবার আগে আমি আপনাকে আর একটি প্রশ্নের সম্মুখিন করি তাহলো, আপনি কি কি কাজ পারেন ? ।
আসলে ভাই টাকা ইনকাম করতে সবাই চায় কিন্তু সবাই কি টাকা আয় করতে পারে ?
পড়ালেখা তো অনেক ছাত্রই করে সবাই কি পাশ করে ? অনেকেই তো চাকরির জন্য চেষ্টা তদবির করে । কিন্তু সবাই কি চাকুরি পায় ? কেন পায় না ?
চাকুরি না পাওয়ার প্রধান কারন দুইটি বলে আমি মনে করি। তার এক নাম্বার কারন হলো, প্রয়োজনীয় দক্ষতা / অভিজ্ঞতার অভাব ।
দেখা যাচ্ছে চাকুরি দাতা যে কাজের জন্য লোক খুজঁছেন , সে কাজে অভিজ্ঞ লোক পাচ্ছেনা । দুই নাম্বার কারন হলো চাকুরির জন্য সঠিকভাবে ধৈর্য্যসহকারে চেষ্টা না করা ।
অনলাইন থেকে আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় – অনলাইনে ইনকাম করার 100 টি সহজ উপায়
তো যাইহোক অনলাইন থেকে ইনকাম করতে হলে , আপনাকে যেকোন কাজে নূন্যতম হলেও দক্ষতা থাকতে হবে। যদি দক্ষতা না থাকে তবে আপনি আগে যেকোন একটি কাজ আগে শিখে নিন তারপর মাঠে নামুন । অনলাইনে ইনকাম ২০২২
অনলাইনে ইনকাম করার উপায় ২০২২
অনলাইনে ইনকাম করার জন্য প্রথম কোন কাজটি শিখবো?
অনলাইনে ইনকাম ২০২২ , অনেকেই প্রশ্ন করে ভাই আমি তো ফ্রিলান্সিং এ একদমই নতুন । আমি প্রথমে কোন কাজটি শিখে অনলাইন থেকে আয় করতে পারবো ? অনেকেই বলে ভাই আমার আর্থিক অবস্থা ভালোনা পারিবারিক সমস্যা !
আমি ছাত্র, আমি পড়ালেখার পাশাপাশি অল্প হলেও অনলাইনে আয় করতে চাই । আমাকে একটু পরার্মশ দেন।
আমি সে ভাইদের উদ্দেশ্য করে একটি কথায় বলি , আপনি প্রথমে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখুন । বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা আকাশচুম্বী ।
বিভিন্ন কম্পানিগুলোতে একজন ডিজিটাল মার্কেটার এর কাজের ক্ষেত্র যেরকমভাবে তৈরি হচ্ছে ঠিক সেভাবে অনলাইন মার্কেটিপ্লেসগুলোতেও ডিজিটাল মার্কেটিং এর ছোট ছোট কাজের জন্য ক্লায়েন্টরা প্রতিদন জব পোষ্ট করে যাচ্ছে।
এই দুটি ক্ষেত্র ছাড়াও নিজের বিজনেসের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর খুঁটিনাটি শেখার প্রয়োজনীয়তা অনেক। অল্প বাজেটে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সহায়তায় কাস্টমার এনগেইজমেন্ট থেকে শুরু করে পন্য বিক্রয় কার্যক্রম খুব ভালোভাবে সম্পন্ন হচ্ছে।
এখন অনেকেরই মনে প্রশ্ন জাগতে পারে ডিজিটাল মার্কটিং টা আবার কি ? ডিজিটাল মার্কেটিং হল ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে পণ্য বা ব্র্যান্ডের প্রচারকে বোঝায়। ইন্টারনেট ডিজিটাল মার্কেটিং এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত।
ডিজিটাল মার্কেটিং এরও আবার অনেকগুলা ভাগ আছে যেমন
- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)
- সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং ( SEM )
- ইমেইল মার্কেটিং
- কনটেন্ট রাইটিং
- ফেসবুক মার্কেটিং
- ইউটিউব মার্কেটিং
- টুইটার মার্কেটিং
- সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
- ভাইরাল মার্কেটিং
- এফিলিয়েট মার্কেটিং
- গুগল ডিসপ্ল্যে নেটওয়ার্ক
- মোবাইল মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং ছাড়াও ঘরে বসে আরো যেসব উপায়ে ইনকাম করা যায় তা এখন ধাপে ধাপে আলোচনা করবো ।
ব্লগিং করে ইনকাম।
আপনি কি জানেন, মোবাইল থেকে একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট বানিয়ে অনলাইন আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করতে পারবেন ? যদি না, তাহলে ভালো করে বিষয়টা জেনে রাখুন।
আপনি অবশই Google এর blogger.com ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি ফ্রি ব্লগ এবং ওয়েবসাইট বানিয়ে নিতে পারবেন।
আর তারপর, যখন আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট ভিসিটর্স বা ট্রাফিক আসা আরম্ভ হবে তখন আপনি নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করা শুরু করতে পারবেন।
আপনার হয়তো এই ভাব হচ্ছে যে, মোবাইল থেকে ব্লগ বানিয়ে income করা অনেক কঠিন বা ঝামেলার কথা।
কিন্তু, তা একদম নই।
মোবাইল থেকে আপনার ব্লগ বানাতে মাত্র ১০ মিনিট লাগবে।
আর, তার পর নিজের ব্লগে ভালো ভালো আর্টিকেল লিখে ব্লগে ভিসিটর্স বা ট্রাফিক আনতে পারবেন।
ব্লগে ভিসিটর্স আশা আরম্ভ হলে, Google AdSense এ নিজের ব্লগটি register করে টাকা আয় করা স্টার্ট করতে পারেন।
Google AdSense গুগলের একটি service যে আমাদের নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইটে text , link , video এবং image advertisements দেখিয়ে তার বিনিময়ে online income এর সুযোগ দেয়।
আজ, “ব্লগ এবং গুগল এডসেন্স” এই দুটো সার্ভিস ব্যবহার করে লোকেরা online এতো টাকা আয় করছেন যে আপ্নে ভাবতেও পারবেননা।
আর, আপনিও যদি ব্লগ এবং এডসেন্স এর দ্বারা income করতে চান তাহলে কোনো কম্পিউটার বা ল্যাপটপের দরকার আপনার নেই।
নিজের স্মার্টফোনেই একটি ব্লগ বানিয়ে তাতে আর্টিকেল লিখে Google AdSense এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।
ইউটিউবিং করে ইনকাম।
ব্লগিং এর মতো মোবাইল থেকে অনলাইন টাকা কমানোর জন্য YouTube channel বানানোর আইডিয়া টি বেশ অনেকটাই লাভজনক।
আজ, অনেক লোকেরা ইউটুবে গিয়ে নিজের চ্যানেল বানিয়ে মাসে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে।
ইউটুবে চ্যানেল বানানোর জন্য আপনার YouTube এর Website এ যেতেহবে।
YouTube.com এ গিয়ে আপনার Gmail একাউন্টের প্রয়োজন হবে।
কারণ, আমি আগেই বলেছি, “YouTube Google এর product ” আর তাই ইউটুবে লগইন করতে Gmail account ID আর password এর প্রয়োজন হবে।
নিজের Gmail account দিয়ে ইউটুবে লগইন করার পর আপনি ইউটুবে directly বা একটি আলাদা channel বানিয়ে তাতে video আপলোড করুন।
ইউটুবে চ্যানেলে ভিডিও upload করেই আপনি টাকা আয় করার সুযোগ পাবেন।
এইটা মনে রাখবেন, যা যা video নিজের YouTube চ্যানেলে upload করবেন সেটা যাতে নিজের বানানো অরিজিনাল ভিডিও হয়।
যদি অন্য কারো ভিডিও নিজের চ্যানেলে আপলোড করেন তাহলে সেটা copyright ভিডিও হিসাবে ধরা হবে।
আর তাই সেই অন্যর কপি করা ভিডিও থেকে ইনকাম করার কোনো option পাবেননা।
তাই, অনেক সহজে নিজের মোবাইল দিয়ে একটি YouTube channel তৈরি করে, মোবাইল দিয়েই ভিডিও তৈরি এবং এডিট করে টাকা আয় করতে পারবেন।
ইউটুবে কেমন ভিডিও আপলোড করতে পারবেন ?
নিজের ইউটুবে চ্যানেলে যেকোনো রকমের ভিডিওস আপলোড করতে পারেন।
যেমন, Tutorial videos, comedy videos, kono story, মোবাইল রিভিউ বা যেকোনো জিনিসের ওপরে।
অনেক তাড়াতাড়ি success পাওয়ার জন্য আপনি নিজের মোবাইল থেকেই টিউটোরিয়াল ভিডিওস বানিয়ে চ্যানেলে আপলোড করুন।
কিন্তু মনে রাখবেন, “যা বানাবেন নিজে বানাবেন” আর ভিডিওর কোনো অংশতে যাতে অন্য কোনো ভিডিওর কোনোরকম কপি করা পার্ট বা অংশ না থাকে সেটা মনে রাখবেন।
এরকম করে original নিজে বানানো video ইউটুবে আপলোড করতে থাকলে অনেক তাড়াতাড়ি টাকা আয় করা শুরু করতে পারবেন।
এখন আপনি ইউটিউবে চ্যানেল বানালেন এবং ভিডিও আপলোড ও করলেন।
কিন্তু, টাকাটা কিভাবে কমাবেন ? আপলোড করা ভিডিও থেকে টাকা কিভাবে পাওয়াযাবে ? সেটাইতো আপ্নে এখন ভাবছেন ? তাই না। .?
ইউটুবে থেকে টাকা কিভাবে আয় করবে ?
আসলে, যখন আপনি ভিডিও ইউটুবে চ্যানেলে আপলোড করেন, তার পর আপনার ভিডিও ইউটুবের ওয়েবসাইটে আশা হাজার হাজার লোকেরা অনলাইন ভিউ করে বা দেখে।
আর তখন আপনার ভিডিও থেকে টাকা কমানোর সুযোগটা এসেপড়ে।
ইউটিউবে “monetization” বলে একটা অপসন রয়েছে।
এই monetization অপশন এর মাধ্যমে যখন apply করে অপশনটি enable করবেন (চালু করবেন) তখন Google AdSense এর তরফথেকে কিছু advertisements আপনার ভিডিওগুলিতে দেখানো হবে।
আর, লোকেরা আপনার ভিডিও দেখার আগে যখন ওই advertisement গুলি দেখবেন, তখন আপনি টাকা ইনকাম করবেন।
এটাই ইউটিউব থেকে অনলাইন ইনকামের উপায়।
বিশ্বাস করেন, যখন ৫০ টি ভিডিও আপলোড করে ফেলবেন আর আপনার প্রত্যেক ভিডিওতে ডেইলি ৩০ করে ভিউ হবে তখন ৫০*৩০= ১৫০০ টোটাল ভিডিও ভিউ আপনি ডেইলি পাবেন।
আর, ডেইলি যদি আপনার ভিডিও গুলি ১৫০০ বার লোকেরা দেখেন তাহলে কমেও ০.২ ডলার করে প্রতি ad view তে পেলেও ০.২*১৫০০= ৩০০ ডলার।
আপ্নে ঠিক ভাবছেন এইটা অনেকটাই ইনকাম।
যদি এক ডলার = ৬০ টাকা হয় তাহলে ৩০০ ডলার *৬০= ১৮,০০০ টাকা।
আজ অনেকেই ইউটুবে থেকে এরথেকে অনেক বেশি টাকা প্রতিদিন কামাই করছেন।
আর এগুলো সব কেবল নিজের মোবাইল থেকেই করতে পারবেন যদি আপনার কাছে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ নেই।
কিন্তু, এইটা মনে রাখবেন, এক দিনে কিছুই হয়না।
আপনার অনেক পরিশ্রম করতে হবে, মনদিয়ে এবং interest রেখে কাজ করতে হবে।
আর তখন গিয়ে আপনি এই YouTube business এ success হবেন।
ইকমার্স থেকে ইনকাম
আপনি চাইলে একটি ই-কর্মাস সাইট বানিয়ে ঘরে বসে ইনকাম করতে পারেন । এখন অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে ই-কার্মাস সাইট টা আবার কি ? আর এ সাইট থেকে ইনকামই বা কিভাবে করা যাবে?
.ই-কর্মাস সাইট মানে হলো একটি অনলাইন দোকান।আপনার বাসার পাশের মুদি দোকানে যেমন বিভিন্ন আইটেম সাজানো গোছানো থাকে লোকজন দোকনে আসে এবং মালামাল কিনে । ঠিক তেমনি অনলাইনে এরকম দোকান কে বলে ই-কর্মাস সাইট
ই-কর্মাস সাইট থেকে কিভাবে আয় করবো ?
-ই-কর্মাস শুরু করতে হলে আপনার একটি ওয়েবসাইট প্রয়োজন যেখানে আপনি আপনার পন্যগুলি মুদি দোকানের মত সাজিয়ে গুছিয়ে রাখবেন । ক্রেতা বা ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে আসবে পন্য দেখবে এবং অর্ডার করবে।
প্রথম অবস্থায় আপনি একটি ফেসবুক পেজের মাধ্যেমে একটি ই-কার্মাস বিসনেস শুরু করতে পারেন। এবং সেটা আপনি মোবাইল দিয়েও করতে পারবেন।
আপনি যে প্রোডাক্ট নিয়ে বিসনেস করতে চান সেই প্রোডাক্ট রিলেটেড একটি নাম দিয়ে ফেসবুক পেজ খুলবেন । এবং সেখানে আপনার প্রোডাক্টোর ছবি দাম সহ বিস্তারিত লিখে রাখবেন।ফেসবুক পেজে আপনার প্রোডাক্টের বিস্তারিত পোষ্ট হলে আপনি আপনার পেজেটিতে ভিজিটর বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন জায়গায় শেয়ার করবেন ।
এভাবে পেজে ভিজিটর বাড়লে আপনার বিক্রিও বাড়বে । ঠিক অফলাইনে যেমন নতুন কোন দোকান উদ্ভোদন হলে কত ধরনের পোস্টারিং, লিফলেট, মাইকিং সহ কত রকমের প্রচারনা হয় শুধু মাত্র দোকানের কাস্টমার বাড়ানোর জন্য দোকান চেনানের জন্য।
ঠিক অনলাইনেও যখন আপনি একটি ই-কর্মাস সাইট বানাবেন , আপনাকে আপনার সাইট প্রচার করতে হবে ভিজিটরদের কাছে আর যখন আপনার সাইটে ভিজিটর আসবে তখন আপনার বিক্রি হবে ইনকাম হবে।
ই-কমার্স সাইট থেকে সফলতা পেতে হলে আপনাকে কিছু ট্রিক্স অবলম্বন করতে হবে। আপনার আসে পাশের সেই সব পন্য গুলো নিয়ে কাজ করুন যে গুলো এখনো অনলাইনে সচরচর পাওয়া যায় না। মানুষের হাতের কাছে ভাল মানের পন্য পৌঁছে দিন প্রতিদ্বন্দ্বী মার্কেটের তুলনায় কিছুটা কম মূল্যেে।
এতে করে বিশ্বাস করুন আপনি যত টা কঠিন ভাবছেন এটা করা তার থেকে অনেক সহজ শুধু আপনাকে শুরু করতে হবে এবং ধর্য্য নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
Final words on topic –
তো বনধুরা, আজ আমি আপনাদের ৫টি সহজ এবং ১০০% রিয়েল উপায় জানলাম যার দ্বারা অনলাইন নিজের মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করা যাবে।
এর মধ্যে এমন কিছু উপায় বলেছি যেগুলো আমি নিজে এতটা করে দেখিনাই জিন্টু অনেকের মুখেই শুনেছি যে তারা এগুলির মাদ্ধমে টাকা কামিয়েছে।
আর এমনও কিছু উপায়ও বলেছি যেমন, “Blogging” এবং “YouTube channel“, যার মাদ্ধমে প্রচুর এবং সীমাহীন income করতে পারবেন।
কিভাবে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায় (How to earn money from mobile phone) এই বিষয়ে লিখা আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে অবশই আর্টিকেলটি শেয়ার করবেন।
এছাড়া, আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোনো ধরণের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে, নিচে কমেন্ট করে অবশই জানিয়ে দিবেন।