ভালোবাসার কবিতা- সেরা ৫০টি ভালোবাসার কবিতা
ভালোবাসার কবিতা (২০২২)
সেরা ৫০ টি ভালবাসার কবিতা
আমার দিবস কাটে, বিবশ হয়ে
তোমার চোখে চেয়ে।দহনের দিনে, কিছু মেঘ কিনে
যদি ভাসে মধ্য দুপুর
তবু মেয়ে জানে, তার চোখ মানে
কারো বুক পদ্মপুকুর।এই যে মেয়ে, কজল চোখ
তোমার বুকে আমায় চেয়ে
তীব্র দাবির মিছিল হোক।
তাকাস কেন?
আঁকাস কেন, বুকের ভেতর আকাশ?
কাজল চোখের মেয়ে
তুই তাকালে থমকে থাকে
আমার বুকের বাঁ পাশ।
অমন অথৈ জ্বলে রোজ, আমার ডুব সাঁতারটা হোক।
শোনো কাজল চোখের মেয়ে, আমি তোমার হব ঠিক
তুমি ভীষণ অকূল পাথার, আমি একরোখা নাবিক।
শোনো, জ্বল ছল ছল কাজল চোখের কন্যা সর্বনাশী,
আমি তোমায় ভালোবাসি।
জ্বর হয়ে থাকা আঁচে
তুমিও থাকো অসুখের মতো
কী ভীষণ ছোঁয়াচে!
যদি—তোমাকে জমা রাখি বুক অবধি।
আধারের রং ছুঁয়ে তুমিও খানিক
আমায় জমিয়ে রেখো বুকের বাঁ দিক।
আমি জোছনা সকল হেলায় ভুলে থাকি।
একটা তোমার মতো মনের জন্য মেয়ে
আমি হৃদয়টাকে যত্নে তুলে রাখি।
তবু বুক ব্যথা-ভার, চক্ষু আকুল।
যতটুকু দিলে অচেনা মিছিলে
হারাবে নিজেকেই।কিছুটা নিজেরও থাক
নিখোঁজ খবর- ছাপা পত্রিকা
ঠিকানাটা খুঁজে পাকা।ততটুকু হোক দেনা
যতটুকু হলে, ফিরে আসবার
পথটুকু থাকে চেনা।
বেলিফুলের গন্ধে কোথাও, একটুখানি চমকে যাই।তাকিও তখন চোখ
হাসিমুখের বুকের ভেতর কে কেঁপে যায় শোকে!
আমার অনুভবে শুধুই তুমি ❣️
ধরে রাখার মতো সুতোও নেই, তবু নাটাই নিয়ে শূণ্য বিলে নীরবে একেলা চলি।
মেঘের মেয়ে, নদী কিংবা জলজ খেয়া
আমার দেয়া একখানা নাম তোমার থাকুক
না হয় আমি হারিয়ে গেলেও
একলা একা সন্ধা তারা
সেই নামেই তোমায় ডাকুক।
কাঁদছে কেন শূণ্য চোখের কোণ?
তোমার জন্য বুকের গহিন জুড়ে
আমার সময় নিঃশব্দ, নির্জন।
পথ চাওয়া শেষে, এসেছিল কী সে? ছুয়ে মেঘ অনিমেষ।
এলোকেশী মেয়ে, মেঘবেলা ধেয়ে, এসেছে কী তার ঢল?
তুমি কার জলে, তোমার ভেজালে? ভাসালেই প্রেমাচল!
দেখেনিতো চেয়ে, এলোকেশী মেয়ে, আর কেউ ছিল তার
কী বিষাদে পুড়ে, তার বুক জুড়ে, কেঁদেছে বিরহী সেতার।
চোখে শাপলা-শালুক ঘোর।
থাকুক শাপলা-শালুক ঘোর
থাকুক টুপ জেলেদের ভোর
থাকুক ছন্নছাড়া রাত
তর হাতের ভীতর হাত।থাকুক তর পায়েতে পা
তুই অন্যতো কেউ না।
হোক অবরোধ
শহরের মেঘে।তুমি হলে জল
স্নান অবিরল
তোমাকেই মেখে।আর যদি কেউ
হতে চায় ঢেউ
অবছাড়া চোখে।
ভেকে যাক আজ
অচেনা জাহাজ
তুমি নেই শোকে।
কতটুকু মেঘ ভার বৃষ্টি অসুখে!তুমি জানো কী, কতটুকু হয়ে গেলে আমি শূণ্য
তুমিও তোমার মতো হলে পূর্ণ।
কিছুটা বিষাদ আসে বিকেলের খামে
সকালের মিহি রোদে, রাত হয়ে যায়
জেনে নিও, খুঁজে আর পাবে না আমায়।
জেগে থাক জানালায়, সন্ধা আসুক
বসুক খানিক পাশে লুকিয়ে অসুখ
রাত্রির কিছু তারা ব্যথায় খসুক।
রাত্রি ঘুমিয়ে গেলে না ঘুমানো ক্ষত
জেগে থাকা আকাশের তারার মত।কিছু নোনাজল জমা জানালা জানুক
অসুক লুকিয়ে রাখে মানুষের বুক।
এই যে ধূসর মেঘের খামে, বর্ষা নামে
জমছে কত ফুলের রেণু চুলের ভাঁজে।
দখিন হাওয়া হঠাৎ এসে, আঁচল ভাসায় সুবাস মেখে
জলের কণা আলতো করে গাল ছুঁয়ে যায়।
ছুতে পারো, তুমিও খানিক?
একটা চিঠি ঘুরে বেড়ায় এই শহরে, ঠিকানা নেই
সেই চিঠিটার বুকের ভেতর জমছে বথা সঙ্গোপনে
বাতাস ভারী দীর্ঘশ্বাসে, কি যায় আসে!শুনছো মেয়ে?
এই শহরে একটা বুকে
তোমার নামে সকাল, দুপুর, সন্ধ্যা নামে!
মনের ভাঁজে তোমার নিমন্ত্রণ
অথচ সে ঘুরল শহর জুড়ে
ঠিকানাহীন দীর্ঘ নির্বাসন।লুকিয়ে রাখা চিঠি
চিঠির ভাজে আস্ত মানুষ থাকে
এই শহরের ফুলগুলোও জানে
মানুষ তার মনের জন্য সুবাস জমা রাখে।
লুকোচুরির পদ্য থাকুক
দূরেই থেকো তুমি।
এই বরষায়, কাপুক তবু
হৃদয় জলজভূমি।
যার পরে আর
কিছু চাইবার
বাকি না থাকে!
ততটুকু নিও
যার পার আর
পিছু চাইবার
ফাঁকি না থাকে।
ভেজা রাত, ভেজা হাত, হিসেব মেলাই
কতটা জীবন দিলো, নিলো কতটুকু?
দিন শেষে-
আমিই আমার আর এই পথটুকু।যেটুকু হেঁটেছি এক, নিজের চোখে
সেটুকুই থেকে গেল সুখে অসুখে।
যেটুকুর আলো জ্বেলে ডেকেছিল কেউ
তার সব চোরাবালি, আড়ালের ঢেউ।এফোঁড় ওফোঁড় বুকে, স্মৃতির সুতো
সুইয়ের ডগায় বোনে লুকানোর ছুঁতে।
আমার বুকেও জমছে অথৈ কান্না, ক্ষত
তবুও আমি থেকেই গেছি, কোথাও যাইনি
তোমায় ভুলে, অন্য মানুষ খুঁজতে চাইনি!
ততটুকু হেঁটে এসে দেখি
ঢের পথ বাকি।এ যেন জীবন
ষোল আনা কাটিয়ে দেখি
পুরোটাই ফাঁকি।
যেখানে ভালোবাসা এত কাছাকাছি।
যেখানে ফিসফিস মায়া— কতকথা
যেখানেই তুমিময়, কী ভীষণ আকুলতা!
আরেকবার ঢেউয়েরা আসক
তারপর ভেঙ্গে যাক মুখের আদল
জলের আয়না জুড়ে অচেনা ভাসুক।আরেকবার চোখে রাখো চোখ
আরেকবার আসুক অসুখ
তারপর জেগে থাক অসুখী মানুষ
রাতের জানালা জুড়ে যন্ত্রণা বুক।আরেকবার জানুক ঝিনুক
আরেকবার নিজেকে চিনুক
তারপর বেদনার জীবন ভেঙ্গে
নিজের জন্য কিছু মুক্তো কিনুক।
আঁকাস কেন বুকের ভেতর আকাশ?
কাজল চোখের মেয়ে
তুই তাকালে থমকে থাকে
আমার বুকের বাঁ পাশ।
ওই চোখে জীবনের হিসেবে সহজ।
আমি তোমায় ভালোবাসি।
পুরনো স্মৃতির দিন, বেদনার ক্ষত
পিছুটান পিছে ফেলে সীমানা ছাড়াই
তবু যেতে যেতে কেন থমকে দাঁড়াই।উড়িয়ে দিয়েছি ঘুড়ি সুতোটুকু কেটে
পুড়িয়ে দিয়েছি চিঠি জমা বুক পকেটে
এখন পথিক হয়ে পথে পা বাড়াই
তবু যেতে যেতে কেন থমকে দাঁড়াই।আয়নায় জেগেছিল কাজল দু চোখ
লেগেছিল লাল টিপ, স্মৃতির সূচক
তার সব ভেঙ্গে কাচ দু পায়ে মাড়াই
তবু যেতে যেতে কেন থমকে দাঁড়াই।
পরে গেলে মায়া বেড়ে যাবে,
থেকে গেলে, এখুনি থাকো
বেলা শেষে ছাড়া বেড়ে যাবে।
ছিন্ন পালের নৌকা জেনেছে, ভেসে যাওয়া যতটুক।
সেখানে তোমার সীমানা, যেখানে থেমেছি আমি
তুমি ছাড়া আর সকলে জেনেছে, তুমি অন্তর্যামী।
আমি জোছনা সকল হেলায় ভুলে থাকি।
একটা তোমার মতো মনের জন্য মেয়ে
আমি হৃদয়টাকে যত্নে তুলে রাখি।
বাকি ঋণ হিসেবে চুকাই।
কিছু দিন তোর ছাড়া মেখে
তোর চোখে নিজেরে লুকাই।
দূরের তারার মতো, আরো দূরে গিয়ে,
এখনো সে আছে।মনে রেখো, ছিল কেউ পাশে
কাছের মায়ার মতো, মেঘ হয়ে,
দূরের আকাশে।মনে রেখো, দহনের দিনেও যে ছায়া হয়ে থাকে
ছুঁয়ে দিও তাকে।
যে হয়েছিল ভোর, অথৈ আদর, নামহীন নদী,
একা লাগে যদি
মনে রেখো তাকে।
খানিক যদি থমকে যাই,
বেলিফুলের গন্ধে কোথাও
একটুখানি চমকে যাই।তাকিও তখন চোখে
হাসি মুখে বুকের ভেতর কে কেঁপে যায় শোকে।
মেঘের মেয়ে, নদী কিংবা জলজ খোয়।
আমার দেয়া একখানা নাম তোমার থাকুক
না হয় আমি হারিয়ে গেলেও
একলা একা সন্ধ্যা তারা
সেই নামেই তোমায় ডাকুক।
থমথমে মেঘে ভেসে যাই
ডেকে দেখো আর একবার
সব ভুলে—
কত কাছে এসে যাই!
কাঁদছে কেন শূণ্য চোখের কোণ?
তোমার জন্য বুকের গহিন জুড়ে
আমার সময় নিঃশব্দ, নির্জণ।
এমন করে রোদের গাঁয়ে সওয়ার হয়ে এলে
রাত্রি এলো অন্ধকারে চড়ে।
সন্ধা জানে বিষন্নতার মানে
বিকেল এলো গুটিয়ে অভিমানে।
এমন করে তুমিও যদি আসো
বলবে কি কেউ, তোমার আসার মানে
তুমি আমায় ভালোবাসো?
তোর নিদাঘ জলের পুকুর
তুই মেখ হয়ে যা মেয়ে
তুই জল হয়ে যা মেয়ে
ঝড়ুক বৃষ্টি টাপুর টুপুর।আমি একলা একা শুনি
তোর জন্য যে পথ শুনি
কখন বুকের ভেতর কেঁপে
বেজে উঠবে তোর নূপুর।
নিঘুম রাত জাগলে একা, দাম কি তার?
মোতার জন্য শূণ্য হলে, দায়টা কার?
অশ্রুজলে ভাসলে একা, যায়টা কার?
তোমার জন্য পথ হারালে, ভাববে কে?
নিখোঁজ খবর আসছে জেনে, কাঁদবে কে?
তোমার জন্য লিখলে চিঠি, পড়বে কে?
‘ভাববো না আর’ ভেবেও রোজ, লড়বে কে?তোমার জন্য জ্বর বাঁধালে, মাপবে কে?
খানিক ছুঁয়েই লুকিয়ে একা, কাঁপবে কে?তোমার জন্য নিঃস্ব হলে, নাম কি তার?
বোকাইতো সে, প্রেমিক বলে, দাম কি তার?
ওর ভেতরেও মেঘ রয়েছে কিছু
যেমন, হাসির ভেতর কান্না থাকে রাখা।ওই যে প্রেমের মতো দেখো
ওর ভেতরেও ফাঁকা রয়েছে কিছু
যেমন, ‘ভালো আছি’র ভেতর ‘খারাপ থাকা’।আরও পড়ুন – নতুন সকল ভালোবাসার কবিতা
ছাপের ভেতর মন কেমনের সুর।
চলে গিয়ে চোখের আড়াল হলেও
মনের আড়াল কোথায়, কত দূর?
দূরের জাহাজ যদি ডাকে
তবু—
ফিরে এসে, তীরে ভাসা নায়।দূরের জলের বুকে ভাসা যায় শুধু
তীর জানে, নোঙরের ঠিকানা কোথায়!
কেউ চেনে স্মৃতিদের রং
কেউ কেউ জমা করে রোখে, দুঃখ বরং।কেউ কেউ চোখ ঢেকে কাঁদে
কেউ চুপিচুপি রাখে খোঁজ।মনে রাখা, নাকি ভুলে যাওয়া?
কী বেশি সহজ?
হয়ে যাবে কী, খুব অচেনা?
কেনা সস্তায়, ঢাকা সানগ্লাস
চোখে রয়ে যাবে কী, জল অজানা!
তুই ক্ষতই বাড়াস, যতই সারাতে চাই
তুই অর্ধেক ব্যথা, অর্ধেক ব্যথাহীন
তুই বুকের ভেতর একটা আস্ত সেফটিপিন।
ভুলে যেও কতটা নিখোঁজ।মরে রেখো কেউ কেউ থেকেও থাকে না
পদভাবে এতটকু চিহ্ন আঁকে না।কেউ কেউ না থেকেও থাকে
চুপি চুপি রোজ ছুঁয়ে যায়-
স্মৃতির গভীর জল নদীটির বাঁকে।
না।
তাহলে?
তাহলে কিছুই না!
কিন্তু রোজ বিকেল, ঠিক সন্ধার আগে ছাঁদে আসো যে?
কিভাবে জানো?
কিভাবে আবার? আমাদের ছাঁদ থেকে দেখা যায়!
রোজ দেখ?
হু!
তার মানে, তুমিও রোজ বিকেলে ছাঁদে আসো?
আসি!
তাহলে তুমি আমাকে ভালোবাসো?
যে মেয়েটা গালি খেয়ে নিশ্চুপ
তারো বুকে রোজ জমা ঘৃণারা
একদিন হয়ে যায় বিষ খুব।যে মেয়েটা স্বাদ পেতে ক্ষমতার
ভূলে যায় ভালোবাসা, মমতা
সে মেয়েটা বুঝে না কী কখনো
তাকে ‘এক’ করে দেয় ‘ক্ষমতা’।যে ছেলেটা ‘নেতা’ হয়ে ভুলে যায়
মানুষের মনটাকে জিততে
জানে কী সে ‘ভালোবাসা’ যা দেখে
আসলে তা ভয় পাওয়া মিথ্যে।